পাল্লেকেলেতে প্রথম ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার ৩৮১ রানের জবাবে আফগানিস্তান কিছুটা হলেও লড়াই করেছিল। একই ভেন্যুতে দ্বিতীয় ম্যাচে পাত্তাই পেলো না তারা। চোখের পলকে যেন বিধ্বস্ত হলো আফগানরা। ১৫৫ রানের বড় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজও নিজেদের করে নিলো লঙ্কানরা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে চার হাফ সেঞ্চুরিতে শ্রীলঙ্কা ৬ উইকেটে ৩০৮ রান করেছিল। প্রথম ম্যাচে ডাবল সেঞ্চুরি করা পাথুম নিসাঙ্কা এদিন ১৮ রানে উইকেট হারান। আরেক ওপেনার আভিষ্কা ফার্নান্ডো (৫) দলীয় ৩৬ রানে বিদায় নেন।
এরপর সাদিরা সামারাবিক্রমা ও কুশল মেন্ডিস ১০৩ রানের জুটি গড়ে শ্রীলঙ্কাকে শক্ত অবস্থানে নেন। পরপর দুই ওভারে এই দুই ব্যাটার প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। সাদিরা ৫২ রান এবং কুশল ৬১ রান করেন।
আসালাঙ্কার সঙ্গে জানিথ লিয়ানাগে শতাধিক রানের জুটিতে শ্রীলঙ্কার বড় সংগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দুজনে মিলে ১১১ রান যোগ করেন। লিয়ানাগে ৫০ রান করে বিদায় নিলে হাসারাঙ্গাকে নিয়ে দলীয় স্কোর তিনশ পার করেন। ক্রিজে থাকলেও সেঞ্চুরি করতে পারেননি আসালাঙ্কা। ৭৪ বলে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৯৭ রান করেন তিনি। আফগানিস্তানের পক্ষে আজমতউল্লাহ ওমরজাই সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন।
লক্ষ্যে নেমে সপ্তম ওভারে ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ফিরে যান। তারপর ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহের জুটিতে লড়াইয়ের আশা জাগায় আফগানিস্তান। কিন্তু আসিথা ফার্নান্ডো ৯৭ রানের জুটি ভেঙে দিয়ে ব্রেকথ্রু আনেন।
২ উইকেটে ১২৮ রান করা আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে। ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা চার উইকেট নিয়ে এই ধসে ভূমিকা রাখেন। ২৫ রানের ব্যবধানে শেষ ৯ উইকেট হারায় আফগানিস্তান।
রহমত করেন ইনিংস সেরা ৬৩ রান। ৫৪ রান আসে ইব্রাহিমের ব্যাটে। আর কেউ দুই অঙ্কের ঘরে রান করতে পারেননি। তৃতীয় সেরা ১০ রান এসেছে অতিরিক্ত খাত থেকে। ১৫৩ রানে অলআউট হয় আফগানরা।