ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আবারও ত্রাণের জন্য অপেক্ষায় থাকা মানুষের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন নিহত ও ১৭ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাতে গাজা শহরের কুয়েতি গোলচত্বরে এই হামলা চালায় ইসরায়েল।
এর আগে চলতি বছরের ২৯ ফেব্রুয়ারি গাজা শহরের দক্ষিণ-পশ্চিমে একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে অপেক্ষারত ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১১২ জনকে হত্যা করেছিল দখলদার ইসরায়েল। ওই ঘটনায় আহত হন আরও কমপক্ষে ৭৬০ জন। ঘটনাটি সারাবিশ্বে ‘ফ্লাওয়ার ম্যাসাকার’ নামে পরিচিত পায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, ওইদিন ভোরে গাজা সিটির দক্ষিণে আল-নাবলুসি গোলচত্বর এলাকার কাছে ত্রাণ নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন শত শত ফিলিস্তিনি। সেসময় হঠাৎ করেই তাদের ওপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
এর আগেও খাবারের জন্য অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের গুলি চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই শত শত নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু।
এদিকে, অবরুদ্ধ গাজার খান ইউনিস ও রাফায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে হতাহত হয়েছেন বহু ফিলিস্তিনি। তাছাড়া খান ইউনিস শহরে সোমবার ব্যাপক স্থল অভিযান চালায় ইসরায়েলি সেনারা। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের লুকিয়ে থাকা সদস্যদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি তল্লাশি চালায় তারা।
গাজার পাশাপাশি লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। অন্যদিকে, নেতানিয়াহু বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাল্টা রকেট হামলা চালিয়েছে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
দক্ষিণাঞ্চলীয় রাফাহ শহরেও সোমবার ব্যাপক বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সেনারা। এতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হতাহত হন নারী-শিশুসহ বহু নিরীহ ফিলিস্তিনি। রাফায় চলমান অভিযান থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের নিরাপদ রাখার কোনো পরিকল্পনা দিতে পারেনি ইসরায়েল। এ কথা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এতে মোট মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ১৮৪ জনে। আহত হয়েছে আরও ১২৯ জন। এর মধ্যদিয়ে মোট আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭২ হাজার ৮৮৯ জনে।
সূত্র: দ্য ন্যাশনাল