টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন কাউন্সিলার জাহেদ চৌধুরী। বারার ল্যান্সবারী ওয়ার্ডের আসাপায়ার পার্টির কাউন্সিলার জাহেদ একজন রাজনৈতিক ও কমিউনিটি এক্টিভিস্ট হিসেবে সুপরিচিত।
টাওয়ার হ্যামলেটস এর প্রথম নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমানের নেতৃত্বাধিন কাউন্সিলের এই মেয়াদের দ্বিতীয় স্পিকার হিসেবে দায়িত্ব নিলেন তিনি। জাহেদ চৌধুরী আসপায়ার পার্টির ট্রেজারার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
১৭ মে বুধবার টাউন হলের চেম্বারে কাউন্সিলের এজিএম-এ তাঁকে বারার ফাস্ট সিটিজেন হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। আসাপায়ার পার্টির পক্ষে তার নাম প্রস্তাব করেন ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার মাইয়ুম মিয়া তালুকদার এবং সমর্থন করেন হাউজিং বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার কবির আহমদ। কাউন্সিলের বার্ষিক সাধারণ সভার এই পর্বে আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকারের দায়িত্ব থেকে বিদায় নেন তুমুল জনপ্রিয় স্পিকার কাউন্সিলার শাফি আহমদ।
ক্ষমতাসীন আসপায়ার ছাড়াও লেবার, টোরি ও গ্রিন পার্টির কাউন্সিলারবৃন্দ বিদায়ী স্পিকারকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান এবং নতুন স্পিকার হিসেবে কাউন্সিলর জাহেদ চৌধুরীকে স্বাগত জানান।
অনুষ্ঠানে ডিপুটি স্পিকার হিসেবে মনোনিত হন ব্রমলি নর্থ-এর কাউন্সিলার ব্যারিস্টার সাইফুদ্দিন খালেদ।
জাহেদ চৌধুরী প্রায় ৩৭ বছর আগে সিলেটের এমসি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় লন্ডনে পাড়ি জমান। তিনি বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী চাঁনসির কাপন গ্রামের চৌধুরী বাড়ীর কৃতি সন্তান। তিনি ৩ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক।
স্পিকার পদে নিযুক্তি লাভের পর এক প্রতিক্রিয়ায় জাহেদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি বারার সব নাগরিকবৃন্দ, ওয়ার্ডের বাসিন্দা, নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান এবং সহকর্মী কাউন্সিলারদের কাছে কৃতজ্ঞ। আশা করি সকলের সহযোগিতায় আমি বারার মর্যাদা ও ঐতিহ্য রক্ষায় অবদান রাখবো।’
‘সেন্ট জোসেফ হসপিস এ আমার মা শেষ জীবনের সেবা নিয়েছিলেন’ উল্লেখ করে তিনি তার পছন্দের চ্যারিটি হিসেবে সেন্ট জোসেপ ও ইডেন কেয়ার এর নাম ঘোষণা করেন।
নির্বাহী মেয়র লুৎফুর রহমান নতুন স্পিকারকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমি আশা করি আমাদের রাজনৈতিক সহযোগী ও বন্ধু জাহেদ চৌধুরী তার দায়িত্বে সফল এবং অনন্য হবেন।
উল্লেখ্য, এই এজিএম-এ মেয়র লুৎফুর রহমান তার ৯ সদস্যের ক্যাবিনেট ও বিভিন্ন কমিটি চেয়ারদের নাম ঘোষণা করেন।