আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেওয়া সব আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে গত মঙ্গলবারের (৩ সেপ্টেম্বর) মধ্যে সেগুলো জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। সেই নির্দেশের আলোকে সিলেট বিভাগে জমা পড়েছে ১১৫০টি। এর মধ্যে সিলেট জেলায় জমা হয়েছে ৪৮৪টি, হবিগঞ্জে ২৫৬টি, মৌলভীবাজারে ২৩৯টি ও সুনামগঞ্জে ১৭১টি।
জানা যায়,সিলেট জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তি ও সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীদের কাছে জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ৫৪৩টি। আর বিভাগের চার জেলায় জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ মোট ১২৯৭টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ১১৫০টি। সে হিসেবে বিভাগে জমা পড়েনি ১৪৭টি অস্ত্র। শুধু হবিগঞ্জেই জমা পড়েনি ৮৮টি অস্ত্র। আর সিলেটে জমা পড়েনি ৫৯টি আগ্নেয়াস্ত্র।
সিলেট জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, সিলেটে জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ৫৪৩টির মধ্যে জমা হয়েছে ৪৮৪টি। শুধু সিলেট মহানগর জমা হয়নি ৪১টি অস্ত্র। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ১টি ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ৩টি অস্ত্র জমা পড়েনি। এছাড়া এপিবিএন এর কিছু পিস্তল, রিভলবার রয়েছে সেগুলো জমা হয়নি। যার সংখ্যা ১৪টি।
হবিগঞ্জ জেলায় জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ৩৪৪ টি। এর মধ্যে জমা পড়েছে ২৫৬টি। এ জেলায় জমা পড়েনি ৮৮টি অস্ত্র।
এছাড়া সুনামগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলায় জমাযোগ্য লাইসেন্সধারী আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ ১৭১ ও ২৩৯টি। তথ্য মতে এই দুই জেলায় লাইসেন্সধারী সবগুলো আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে।
সিলেটের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুবর্ণা সরকার সিলেটভিউকে বলেন- জমা না দেওয়া অস্ত্র উদ্ধারে কাজ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হবে। সিলেট মহানগরে যেহেতু জমা না দেওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের পরিমাণ বেশি, অস্ত্র উদ্ধারে সিলেট মহানগর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করবে। প্রশাসন থেকে তাদের সকল সহযোগিতা দেওয়া হবে।