G-X8PRCEGCWT

সিলেটে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩
সিলেটে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা আজ থেকে শুরু

বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট এর ব্যবস্থাপনায় ‘৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেটে অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকাল ১০টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এম.পি। শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

মঙ্গলবার বিকেলে সিলেটের একটি হোটেলের কনফারেন্স কক্ষে এক প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানায় সিলেট শিক্ষা বোর্ড।

এ সময় সিলেট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রমা বিজয় সরকার বলেন, দেশের সকল স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত) ছাত্র ও ছাত্রীদের অংশগ্রহনে বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা ক্রীড়া সমিতির আয়োজনে এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সার্বিক তত্ত্বাবধানে প্রতি বছর দেশব্যাপী গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর ফুটবল, হ্যান্ডবল, কাবাডি, দাবা ও সাঁতার নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রতিযোগিতাটির ৫০তম আসর। ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতা স্লোগান হচ্ছে- “তোমরা এগিয়ে গেলেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ”

৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সবগুলো ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। তাদের মধ্যে সব চেয়ে বেশি অংশগ্রহণকারী ফুটবলে, যা প্রায় দুই লাখ। কাবাডি ও হ্যান্ডবলে প্রায় সত্তর হাজার। সাঁতারে প্রায় পয়তাল্লিশ হাজার, দাবাতে প্রায় পনের হাজার। তাদের মধ্যে তিনটি ইভেন্টে (ফুটবল, কাবাডি, হ্যান্ডবল) প্রায় ছয় সহস্রাধিক চৌকস – মেধাবী খেলোয়াড় আমরা বাছাই করছি। অনুর্ধ্ব ১৭ বছরের এই খেলোয়াড়দের মধ্যে প্রায় তিন হাজার ছাত্র এবং তিন হাজার ছাত্রী ।

তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। প্রতিযোগিতাটি সর্বপ্রথম শুরু হয় স্কুল/মাদ্রাসা ও কারিগির শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে, তারপর প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে টিম নিয়ে (একক/দলীয়) উপজেলা এবং মহানগরীর ২০টি থানা পর্যায়ে বিজয়ী দল জেলা পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। জেলা পর্যায়ের দলগুলো ৯টি উপ-অঞ্চলে ভাগ হয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করে। উপঅঞ্চলের চ্যাম্পিয়ন দলগুলো ৪টি অঞ্চলে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। ৪টি অঞ্চলের বিজয়ী দল সিলেট শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হবে। প্রতিযোগিতার বিভিন্ন পর্যায় অতিক্রম করে বিভিন্ন ইভেন্টে মোট ৪৯৬ জন খেলোয়াড় জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছে। জাতীয় পর্যায়ের খেলাগুলো ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে ১ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সিলেট শহরের বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের চারটি অঞ্চল থেকে বিজয়ী দলগুলো হলো- (ক) বকুল অঞ্চল (চট্টগ্রাম, সিলেট ও কুমিলা), তাদের জার্সির রং সবুজ (খ) গোলাপ অঞ্চল (খুলনা, বরিশাল), তাদের জার্সি রং বেগুনী (গ) পদ্ম অঞ্চল (ঢাকা, ময়মনসিংহ), তাদের জার্সি রং নীল (ঘ) চাঁপা অঞ্চল (রাজশাহী, রংপুর), তাদের জার্সি রং লাল। প্রেস ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, সকল ইভেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার আপ দলকে ট্রফি, মেডেল, সনদ ও প্রাইজবন্ড প্রদান করা হয়। গ্রীষ্মকালীন ও শীতকালীন জাতীয় পর্যায়ের ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ১ম: ১ লাখ, ২য়: ৭০ হাজার, ৩য়: ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে এ অনুদান প্রবর্তিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা সফল করতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, সিলেট এর পক্ষ থেকে সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

শেয়ার করুন