সুনামগঞ্জে ইভটিজিংয়ের দায়ে ৪ বখাটে যুবককে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাদের প্রত্যেককে ১৫দিন করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এরআগে বখাটে ওই ৪ যুবক জামালগঞ্জ উপজেলার নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের পথরোধ করে ইভটিজিং করে। পরে এলাকাবাসী তাদের ধরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তান্তর করে।
দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, জামালগঞ্জ উপজেলার নয়াহালট গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে জামাদুল ইসলাম (১৮), একই গ্রামের আলী মর্তুজার ছেলে শামীম মিয়া (১৮), সাজিদুল হকের ছেলে আবু বক্কর (১৮), বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার শুক্তিয়ারখলা গ্রামের এমদাদুল হকের ছেলে রিয়াজ হোসেন (১৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীন চন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী কয়েকজন ছাত্রী বিদ্যালয় কেন্দ্রিক কোচিং ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় স্থানীয় করচ বাগানের আড়ালে ওঁৎ পেতে থাকা বখাটেরা ছাত্রীদের পথরোধ করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শনসহ আপত্তিকর আচরণ করে এবং ছাত্রীদের মোবাইল নাম্বার দিতে বলে। ছাত্রীরা বখাটেদের আচমকা এরকম পথরোধে ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী উপস্থিত হয়ে বখাটেদের আটক করে বিদ্যালয়ে নিয়ে যায়।
পরে প্রশাসনকে খবর দিলে জামালগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তনুকা ভৌমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেন।
এসময় ফেনারবাঁক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজল চন্দ্র তালুকদার, জামালগঞ্জ থানার এসআই সৌরভ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় এলাকাবাসী জানান, মাদকসেবী এ বখাটেদের একটা চক্র রয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত বখাটে রিয়াজ হোসেন বিশ্বম্ভরপুর থেকে ইয়াবা, গাঁজাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদক এনে জামালগঞ্জে নয়াহালট গ্রামে তার সঙ্গী ও অন্যান্য বখাটেদের কাছে পৌঁছায়। তারা বিভিন্ন মাধ্যমে এসব মাদক তাদের নির্ধারিত গ্রাহকের কাছে সরবরাহ করে থাকে। এরা ইজিবাইকের ব্যাটারি চুরি, হাওরে থাকা চাষের জমিতে পানি সেচের মেশিন চুরি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড চালিয়ে আসছিল।