জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘এলাকার উন্নয়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। বর্তমান সরকারের আমলে এলাকার রাস্তাঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির ও গোরস্থানসহ ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এই চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সবাইকে মিলেমিশে পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে হবে। রাস্তাঘাট উন্নয়নের ফলে এলাকার মানুষের শিক্ষার উন্নয়ন হয়। শেখ হাসিনার অঙ্গীকার গ্রামীণ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি স্মাট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ কাজ করতে হবে।
তিনি জকিগঞ্জের কামালপুরে ৩নং কাজলসার ইউনিয়নকে একটি আধুনিক এলাকায় রূপ দেয়ার লক্ষ্যে দলমত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে জকিগঞ্জ উপজেলার ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন-এর ৭নং ওয়ার্ডের কামালপুর গোরস্থান উন্নয়ন কমিটি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক খসরু’র সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক রহমত আলী হেলালী’র পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদ-এর প্যানেল চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্জ মস্তাক আহমদ পলাশ ।
মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদ-এর ১৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ইফজাল আহমদ চৌধুরী, ৩নং কাজলসার ইউনিয়ন পরিষদ-এর চেয়ারম্যান মোঃ আশরাফুল আম্বিয়া, কানাইঘাটের ৩নং দিঘিরপার পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদ-এর একাধিক বারের চেয়ারম্যান আব্দুল মুমিন চৌধুরী,সিলেট জেলা পরিষদ-এর সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মাসুদ আলম চৌধুরী।
এলাকাবাসীর পক্ষে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় ইউপি সদস্য ফারুক আহমদ ফুরুক, বিশিষ্ট আলেম মাওলানা আব্দুর রহিম কামালী, প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশীদ স্বপন ও কামালপুর গোরস্থান উন্নয়ন কমিটির সভাপতি রশীদ আহমদ হানিফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ক্বোরআন তেলাওয়াত করেন হাফিজ সুমেল আহমদ।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা পরিষদ-এর প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ্জ মস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, আমি বিগত জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পর এই এলাকায় এসে একটি বিশাল গোরস্থান দেখে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম কিছু একটা করার। সেই প্রতিজ্ঞা পূরণে আমাকে প্রায় এক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। এখন আমি এই গোরস্থানের উন্নয়নের জন্য স্থানীয় এমপি হাফিজ আহমদ মজুমদারের সুপারিশের ভিত্তিতে মন্ত্রণালয় থেকে ৫ লক্ষ টাকার বরাদ্ধ অনুমোদন করেছি। ইনশাআল্লাহ, শীঘ্রই এলাকাবাসীর মতামতের ভিত্তিতে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।