সিলেটের শাহজালাল উপশহরে কোমল পানীয় কোকা-কোলা পান করে নারী ও শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন অজ্ঞান হয়ে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। সোমবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় সিলেটের শাহপরাণ থানাধীন উপশহর এলাকার এইচ ব্লকের ৩নং রোডের আলী হোসেনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রাজু নামের এক যুবককে অভিযুক্ত করছে ভুক্তভোগী পরিবার। তাদের দাবি, ঘটনার পর থেকে রাজু পলাতক রয়েছেন। তিনি হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার বুলুই গ্রামের বাসিন্দা।
তবে, ঘটনার পিছনের কারণ বলতে পারছেন না পরিবারের কেউই। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনদের অভিযোগ, একই এলাকার রাজু নামের এক ব্যক্তি বাসার পার্শ্ববর্তী একটি দোকান থেকে কোকা-কোলা কিনে এনে পান করতে বলে। সেই কোকা-কোলা পান করার পরই তারা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে কোকা-কোলা বোতলে সাদা পাউডার জাতীয় বস্তু দেখতে পান তারা।
শামসুল হকের ভাই বাচ্চু মিয়া বলেন- রাজুর দেওয়া কোকা-কোলা পান করার পরই কামরুন্নেসা, এলমিনা, রুবিনা, লুভনা ও তামীম অজ্ঞান হয়ে যান। তৎক্ষণাৎ পরিবারের সদস্যরা তাদের ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করেন। পরে চিকিৎসায় তাদের জ্ঞান ফেরে। কোকা-কোলা বোতলে সাদা পাউডার জাতীয় বস্তু রয়েছে।
তিনি বরেন, রাজু কেন এমনটি করেছে তা জানি না। ঘটনার পর থেকেই সে (রাজু) পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন- বিষয়টি সম্পর্কে আমরা রাতে অবগত হয়েছি। খোঁজ-খবর নিচ্ছি। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ আসেনি বলে জানা তিনি।
কোকা-কোলা খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়া ৫ জন হলেন- ওই বাসার শামসুল হকের স্ত্রী কামরুন্নেসা (৩৫), মেয়ে এলমিনা (১৪), রুবিনা বেগম (১৭) ও লুভনা বেগম (১০) এবং ছেলে তামীম আহমদ (৪)। বর্তমানে তারা হাসপাতালটির ৬ তলার ৩৬ নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।