মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭ সদস্যকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিস্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান ১৫ জুন স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি সংগঠনের ফেসবুক ভেরিফাইড পেজে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় আপলোড করা হয়। যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
বহিস্কৃতরা হলো- মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার তৈয়বুন্নেছা খানম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান জয়, জায়ফরনগর ইউনিয়ন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুল ইসলাম, জুড়ী উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য হুমায়ুন রশীদ, আসরাফ উদ্দিন, আলীম উদ্দিন ও মামুন আহমদ এবং ছাত্রলীগ কর্মী হৃদয় আহমদ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংগঠন বিরোধী, শৃঙ্খলা পরিপন্থী, অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুন্ন হয় এমন কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগে এদেরকে সংগঠন থেকে সাময়িক বহিস্কার করা হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন বুধবার দুপুরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা শহরের ভবানীগঞ্জ বাজার চৌমোহনীতে সদ্য বিলুপ্ত উপজেলা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। তখন দলীয় কর্মীরা দা, লাঠি ও পাথর হাতে নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। এতে একজন পরিবহন শ্রমিক আহত ও দুইটি সিএনজি গাড়ীর গ্লাস ভেঙে গেলে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি এবং পুলিশ কোনো অস্ত্র উদ্ধার করেনি।
এ বিষয়ে গত ১১ জুন রোববার রাতে উপজেলা আওয়ামী লীগের এক নেতার বাসায় এক সমঝোতা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে উভয় গ্রুপের বিরোধ মিটমাট করে দেওয়া হয়। সেই সাথে সংঘর্ষে প্রদর্শিত অস্ত্র এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করা হয়।