ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোতে বিরামহীনভাবে চলছে উদ্ধার অভিযান। মূলত আটকা পড়াদের জীবিত উদ্ধারে তৎপড়তা জোরালো করা হয়েছে। তবে ঘটনার পর এরই মধ্যে পাঁচদিন পাড় হয়েছে। এখন যদি কাউকে জীবিত উদ্ধার করা হয়, তা হবে ‘অলৌকিক’ ঘটনা। তুরস্কের কাহরামানমারস থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক রেসুল সেরদার এ তথ্য জনিয়েছেন।
তিনি বলেন, চারদিক থেকে আমরা লাশের গন্ধ অনুভব করতে পারছি। আমরা এখান থেকে অনেকের মরদেহ বের করে নিয়ে আসতে দেখছি। তাছাড়া এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে ভূমিকম্পের পাঁচদিন পর তুরস্কে ধ্বসংস্তূপ থেকে দুই নারীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধসে পড়া ভবন থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুই দশকের মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী ভূমিকম্পের পর ধ্বংসস্তূপের মধ্যে ওই দুই নারী ১২২ ঘণ্টা আটকা ছিল।
আনাদোলু নিউজ এজেন্সির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, কম্বল জড়ানো অবস্থায় তাদের মধ্যে একজনকে উদ্ধারকারীরা বাইরে বের করে নিয়ে আসছেন। একটি অপেক্ষমাণ অ্যাম্বুলেন্সের দিকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাটি তুরস্কের কাহরামানমারা প্রদেশের। ৭০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম মেনেকসে তাবাক বলে জানা গেছে।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর পেরিয়ে গেছে পাঁচদিন। ঘণ্টার হিসাবে ১২৫’র বেশি। তাই ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা লোকদের জীবিত উদ্ধারের আশা প্রায় ফুরিয়েই এসেছে। অথচ এখনো নিখোঁজ হাজার হাজার মানুষ। তাদের উদ্ধারে আরও সময় দরকার। কিন্তু সময়ের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন উদ্ধারকারীরা। আর জিতে যাচ্ছে মৃত্যু।
শনিবার (১১ ফেব্রুয়রি) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, গত সোমবারের প্রলয়ংকরী ওই ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ২৪ হাজার ছাড়িয়েছে। তবে উদ্ধারকারীরা আটকেপড়া লোকদের উদ্ধারে প্রাণান্ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
তুর্কি কর্তৃপক্ষ এবং সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের সবশেষ তথ্যমতে, দেশ দুটিতে এ পর্যন্ত ২৪ হাজার ৪৫৭ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ। এছাড়া কেবল তুরস্কেই আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি লোক।