শাবিপ্রবি সংবাদদাতা
স্থাপত্যের বিভিন্ন নান্দনিক প্রদর্শনীর মাধ্যমে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) স্থাপত্য প্রদর্শনী ও আইডিয়া-কনটেস্ট নিয়ে ডি’এক্সপো-৭ সম্পন্ন হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হয়। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এবারের আয়োজনের সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে স্থাপত্য বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. মুস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশ বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও স্থপতি অধ্যাপক শামসুল ওয়ারেস, প্রধান অতিথি হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, স্কুল অব এপ্লাইড সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্থপতি শামসুল ওয়ারেস শাবি শিক্ষার্থীদের কাজের সুনাম করে বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্থাপত্যের কাজগুলো বাংলাদেশের স্থাপত্য বিভাগ গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে থাকবে। বর্তমানে স্থাপত্য তৈরিতে স্থান ও সময়ের গুরুত্বারোপ করার প্রয়োজন। তাই ভবিষ্যৎমুখী স্থাপত্য তৈরিতে শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন তিনি।
এদিকে এবারের ডি’এক্সপো আয়োজনে বাংলাদেশের সবচেয়ে উদ্ভাবনী স্থপতি এবং নির্মাতাদের কর্মশালা, সেমিনার, আইডিয়া-কনটেস্টের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের স্টুডিওর বিভিন্ন প্রজেক্ট প্রদর্শন করা হয়। এ প্রদর্শনীতে আর্কিটেকচার বিভাগের শিক্ষার্থীদের ৪৫টি প্রজেক্ট এবং ২০ টি ডিজিটাল আর্ট, স্কেচ, ডিজাইনকৃত বিভিন্ন প্রজেক্ট, চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য ও আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এবারের এক্সিভিশনে ডিজাইন কম্পিটিশনে প্রথম হয়েছেন কুয়েটের শিক্ষার্থী রাফিদ আহমেদ, দ্বিতীয় হয়েছেন বুয়েটের শিক্ষার্থী অনিক চন্দ, তৃতীয় হয়েছেন শাবির শিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান চৌধুরী। এতে অনারেবল মেনশন হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাকিব আহমেদ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। এছাড়া আর্কিটেকচার বিভাগে একাডেমিক কৃতিত্বের জন্য থিসিসসহ বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের মোট ১৮ জন শিক্ষার্থীকে এওয়ার্ড দেয়া হয়।
সমাপনী পর্বে একাডেমিক কৃতিত্বের স্বীকৃতি স্বরূপ বিভাগের ১৮ জন শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ‘ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড’ এবং দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৪ জনকে ‘ডিজাইন কম্পিটিশন এওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।