G-X8PRCEGCWT

নির্বাচন কমিশন আমার সাথে অবিচার করেছে : হিরো আলম

একাত্তর ডেস্ক
প্রকাশিত জুন ১৮, ২০২৩
নির্বাচন কমিশন আমার সাথে অবিচার করেছে : হিরো আলম

প্রার্থিতা বাতিলের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)

‘যতবারই নির্বাচনে দাঁড়াই আমার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়। প্রতিটাবারই কেন বাতিল করা হয় আমি জানি না। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভয়-ই পায় কিনা জানি না। এর আগেও দুইবার প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। হাইকোর্টে থেকে এনে ভোটও করেছি, ভোটে জিতেছি; ফলাফল জিরো।’

রবিবার (১৮ জুন) ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম)।

এর আগে আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) বাছাই করে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান হিরো আলমসহ আট প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। মুনীর হোসাইন জানান, ১৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এরমধ্যে বাছাইয়ে সাত জনের মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। বাকি আট জনের বাতিল হয়েছে।

প্রার্থিতা বাতিল প্রশ্নে হিরো আলম আরও বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় না পেলে বারবার কেন হ্যারাস করা হচ্ছে? আমি হাইকোর্টে গেলে প্রার্থিতা ফেরত পাবো।’

এ বিষয়ে কোনও মামলা করবেন কিনা, সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি সেটা পরে জানাবো।’

কেন প্রার্থিতা বাতিল হলো, জানতে চাইলে স্বতন্ত্র এই প্রার্থী নির্বাচন কমিশনকে দোষারোপ করে বলেন, ‘তারা আমার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ বিল, ঋণখেলাপি, মামলা কিছু বের করতে পারেনি। তারা বলছে, আমি যে ভোটারদের স্বাক্ষর দিয়েছিলাম, তাদের তারা খুঁজে পায়নি। স্বাক্ষর করাদের মধ্যে তিন জনতো আমার সঙ্গেই ছিল। সেটা দেখতে বললাম, দেখলো না।’

তিনি বলেন, ‘তারা (নির্বাচন কমিশনের লোকজন) এলাকায় গিয়ে নাকি স্বাক্ষরকারী ভোটারদের খুঁজে পায়নি। তারা গুলশান-বনানী এলাকায় না গিয়ে বস্তি এলাকায় গেছে। সেখানে চায়ের দোকানদার যখন শুনেছে তাকে খুঁজতে পুলিশ আসছে, তখন সে কিছু না ভেবেই পালিয়ে গেছে। ছয় জন পুলিশ সঙ্গে নিয়ে গেলে কে আপনাকে তথ্য দিবে। আমার সাথে তারা অন্যায় করলো।’

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা হলেন– জাকের পার্টির কাজী মো. রাশিদুল হাসান, জাতীয় পার্টির রওশন এরশাদপন্থি মো. মামুনুর রশিদ, মো. তারিকুল ইসলাম ভূঁঞা (স্বতন্ত্র), আবু আজম খান (স্বতন্ত্র), আশরাফুল হোসেন আলম (হিরো আলম), মুসাউর রহমান খান (স্বতন্ত্র), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের (বিএনএফ) মো. মজিবুর রহমান ও শেখ আসাদুজ্জামান জালাল।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও জানান, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে তারা চাইলে নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ জুন। পরদিন হবে প্রতীক বরাদ্দ। ১৭ জুলাই সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ব্যালট পেপারে ভোট নেওয়া হবে।

গত ১৫ মে এই আসনের সংসদ সদস্য চিত্রনায়ক আকবর হোসেন পাঠানের (ফারুক) মৃত্যু হলে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।

শেয়ার করুন