G-X8PRCEGCWT

মানবতাবিরোধী অপরাধ : নীলফামারীর একরামুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ১৫ মার্চ

একাত্তর ডেস্ক
প্রকাশিত জানুয়ারি ২৭, ২০২৩
মানবতাবিরোধী অপরাধ : নীলফামারীর একরামুলসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পরবর্তী সাক্ষ্য ১৫ মার্চ

একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নীলফামারীর একরামুল হকসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের সপ্তম সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

আদালতে এদিন রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। তিনি বলেন, মামলার তদন্ত শুরু হয় ২০১৭ সালের ২০ নভেম্বর। ২০১৯ সালের ১ আগস্ট তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।

অভিযুক্ত ৮ আসামির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধচলাকালে অপহরণ, হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। ৪৬ জনকে আটক, ২৫ জনকে অপহরণ, তিন ধর্ষণ, ১৫ বাড়ি-ঘর ভাঙচুর ও সাতজনকে হত্যা এবং গণহত্যার অভিযোগ এনে মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

ছয় অভিযোগে ২৩৮ পৃষ্ঠার নথিপত্র ছিল তদন্ত প্রতিবেদনে। এরপর প্রতিবেদনটি ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেওয়া হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরু হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

এর আগে ২০১৯ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। পরে ওই বছরের ১ জুলাই দিনগত রাতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের নুরল হক (৬৫), একই ইউনিয়নের নিজপাড়া গ্রামের আব্দুস ছাত্তার (৭৯), মো. জবেদ আলী (৭১), বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের মো. আব্দুল খালেক (৭১), গয়াবাড়ি ইউনিয়নের একরামুল হক (৭৮), শহীদুল্লাহ সরকার (৭০) ও মো. মোকলেছার রহমান ওরফে খোকা (৭৬)।

মানবতাবিরোধী অপরাধে একরামুল হকসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। পরে একজন মারা গেলে মামলা থেকে তার নাম বাদ দেওয়া হয়। নীলফামারীর ডিমলা থেকে গ্রেফতার হওয়া মো. শহীদুল্লাহ সরকার ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এছাড়া মামলার আরেক আসামি কাউছার মোড় গ্রামের শাহাদৎ হোসেন (৬৮) দীর্ঘদিন ধরে পলাতক।

এদিকে, ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর অসুস্থতা বিবেচনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নীলফামারীর একরামুল হককে জামিন দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

শেয়ার করুন