রংপুরের পীরগাছায় মেয়ের প্রেমে বাধা দেয়ায় নওশাদ আলী (৫৫) নামের এক বাবা খুন হয়েছেন। প্রেমের বিষয়টি মেনে না নেয়ায় তাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে মেয়ের প্রেমিকের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মামলা করার পরে প্রেমিক আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রংপুর-সুন্দরগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত নওশাদ আলীর বাড়ি রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের কাচারিবাজার এলাকায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নওশাদ আলীর কিশোরী মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার রামধন এলাকার ওসমান গণির ছেলে আব্দুল করিমের। বিষয়টি মেনে নিচ্ছিল না কিশোরীর পরিবার। একপর্যায়ে ওই কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে যায় প্রেমিক আব্দুল করিম। এ ঘটনায় করিমকে আসামি করে থানায় মামলা করেন নওশাদ আলী। ওই মামলায় কিশোরীকে উদ্ধার করে তার বাবার জিম্মায় দেওয়াসহ আব্দুল করিমকে প্রেফতার করেছিল পুলিশ। প্রায় তিন মাস হাজতবাসের পর জামিনে ছাড়া পায় আব্দুল করিম।
এই খবর পেয়ে প্রেমের টানে ওই কিশোরী বুধবার সকালে ফের প্রেমিক আব্দুল করিমের বাড়িতে গিয়ে অবস্থান নেয়। অনেক খোঁজাখুজির পর সেখানে গিয়ে তাকে জোর করে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন কিশোরীর বাবা নওশাদ আলী। পথিমধ্যে ইছলারহাটের চেংটুর ব্রিজ এলাকায় পৌঁছলে পথরোধ করে নওশাদ আলীকে বেধড়ক পিটুনি দেয় মেয়ের প্রেমিক আব্দুল করিম। ঘটনাস্থলে নওশাদ আলী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইছলারহাটে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এসময় তার অবস্থার অবনিত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পীরগাছা থানার ওসি মাসুমুর রহমান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জানান, বুধবার রাতেই নিহত নওশাদ আলীর স্ত্রী নুরুন্নাহার বেগম বাদী হয়ে মেয়ের প্রেমিক আব্দুল করিমের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলর পরেই আব্দুল করিমকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।