একদিনেই ১০৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে আটক করেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তাদের বিরুদ্ধে বৈধ অনুমতি ছাড়া কাজ করা, ভুয়া অভিবাসী কাগজপত্র প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযানে নগদ অর্থও জব্দ হয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র।
অভিযানের সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ভোরে নর্থ লন্ডনের ব্রেন্টে ইমিগ্রেশন ইনফোর্সমেন্ট কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পরিদর্শনে যোগ দেন।
আটককৃতদের মধ্যে ২০ দেশের অভিবাসী রয়েছে। এদের মধ্যে বাংলাদেশি রয়েছেন কিনা তা উল্লেখ করেনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। রেস্তোরাঁ, সেলুন, কার ওয়াশ এবং খুচরা পণ্যের দোকানে পরিচালিত পৃথক অভিযানে বৈধ কাগজপত্র বিহীন এসব অভিবাসীদের আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ৪০ জনকে নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। বাকিরা জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এই অভিযান। শতাধিক আটকের ঘটনাকে একদিনে সর্বোচ্চ বলে মনে করছেন ব্রিটেনের অভিবাসী আইনজীবীরা।
লন্ডনের লেক্সপার্ট সলিসিটর্সের ব্যারিস্টার শুভাগত দে শনিবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘একদিনে ১০৫ জন আটক এবং অভিযান পরিদর্শনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর যোগ দেওয়ার বিষয়টি অবৈধদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানের প্রমাণ। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে যেসব বাংলাদেশির কাছে বৈধ কাগজ পত্র নেই তাদের এবং স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নতুন করে বিভিন্ন ভিসায় মানুষ না এনে যাদের কাজ বা বসবাসের বৈধ কাগজপত্র নেই তাদের শর্ত সাপেক্ষে বৈধতা দেওয়া হলে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতো ব্রিটেন।’