প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রশ্নে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, জনগণের কাছে জানতে চাই— শেখ হাসিনার বিকল্প প্রধানমন্ত্রী কে আছেন? তার মতো জনদরদি নেতা কে আছেন? তিনি বলেন, ‘সব দলের কাছে জানতে চাই— শেখ হাসিনা ছাড়া যোগ্য নেতা কে আছেন? বিএনপি কাকে নেতা বানাবে?’
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে মিরপুর-১ নম্বরের দারুস সালাম বালুর মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের এক আলোচনা সভায় এসব প্রশ্ন রাখেন তিনি। সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।
জনগণ কি শেখ হাসিনা পদত্যাগ চায়, প্রশ্ন করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আদালতের আদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কবরে ঘুমিয়ে আছে। সেটা কি দেশের জনগণ আর চায়? তাহলে বিএনপি কেন চাইছে?’
শেখ হাসিনার বিকল্প নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা হারলে বাংলাদেশ হেরে যাবে, গরিব মানুষ হেরে যাবে, স্বাধীনতা হেরে যাবে। তিনি হেরে গেলে বাংলাদেশর উন্নয়ন হেরে যাবে। তাকে বিজয়ী করতে হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা খালি হাতে লড়বো। তবে আগুন নিয়ে আসলে তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবো।’
মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দেখলে ‘বিদেশে আছি’ মনে হয়— উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিজ্ঞা রক্ষা করেন। সামনে তারা (বিএনপি) অন্ধকার দেখবে। তাদের ভোট দিলে দেশ গিলে খাবে। তারা বাংলাদেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তান বানাবে। সেই ধান্দায় আছে তারা।’
বিএনপির মুখে মধু ও অন্তরে বিষ মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা বলে, তারা ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের কোনও ক্ষতি হবে না। কী সুন্দর কথা! কিন্তু তারা আমাদের নিঃস্ব করে দিয়েছে। তারা আবার ক্ষমতায় আসলে এক রাতের মধ্যে বাকিটা শেষ করে দেবে।’
‘বিএনপির তিনটি গুণ— দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও মানুষ খুন’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘কানাডার আদালত দলটিকে সন্ত্রাসীদের দল বলেছে, আমরা বলছি না। তাদের হাতে রক্তের দাগ। মোশতাক ও জিয়ার নেতৃত্বে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট এবং ৩ নভেম্বর জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। অথচ তারা এখন মানবাধিকারের কথা বলছে! মনে হয়— তারা খাঁটি ফেরেশতা, তাদের মতো আর ভালো মানুষ নেই।’
বিএনপি নেতাদের ঈমান নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমানুল্লাহ আমান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসেছেন। ফলের রস খেয়ে সব ভুলে গেছেন। গয়েশ্বর কিশোরগঞ্জের কোরাল মাছ খেয়ে খুশি হয়েছেন, কিছু প্যাকেট বাড়িতেও নিয়ে গেছেন। এগুলো ওপেন, ছবি আছে।’
সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন