শ্রীঙ্গল সংবাদদাতা
মৌলভীবাজারে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। আবহাওয়ার তারতম্য ও শীতের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। একসপ্তাহ ধরে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে ওঠানামা করছে। শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে বৃহস্পতিবার এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৬ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারা পৃথিবীতেই চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে কমেছে। পার্শ্ববর্তী দেশেও তাপমাত্রা নেমেছে। এরই প্রভাবে আমাদের দেশে এ বছর তাপমাত্রা ওঠানামা করছে।
কয়েকদিন থেকে দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মেলে না। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হন না ঘর থেকে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহনগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনে ও রাতে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই। বিকেল হলে শীতের তীব্রতা বেড়ে সকাল পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকছে। শীতের কারণে সবচেয়ে বেশি হাওরপাড় ও চা বাগান এলাকাসহ শ্রমজীবী মানুষ ভোগান্তিতে পরেছেন।
শ্রীমঙ্গল শহরের শিক্ষক আবছার আহমদ বলেন, চা বাগান ঘেরা চায়ের রাজ্য শ্রীমঙ্গলে তীব্র শীত নেমেছে। হাঁড় কাঁপানো শীতের কারণে সকালে হাঁটতে বের হতে পারিনি।
শ্রীমঙ্গলের ব্যবসায়ী আলীম উদ্দিন বলেন, শীতে জবুথবু অবস্থা। প্রয়োজনীয় কাজে বাইরে গেলে হাত-পা শীতল হয়ে যায়। এবার টানা শীতে জনজীবনে অনেকটা বিপর্যয় নেমেছে। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কমে যায় দোকানপাটের বেচাকেনা।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার শ্রীমঙ্গলের আবহাওয়া সহকারী মো. আনিসুর রহমান বলেন, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে। এরকম তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন থাকতে পারে। জেলাজুড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
সিলেট বিভাগের আবহাওয়া পর্যবেক্ষক ও বিশেষজ্ঞ আব্দুল মুইদ বলেন, সিলেটে আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে শ্রীমঙ্গলে।