জামালপুরের সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের পাশাপাশি মাথায় গুরুতর জখম ছিল বলে জানিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহকারী অধ্যাপক ডা. শোহাব নাহিয়ান।
শুক্রবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এই চিকিৎসক বলেন, ‘শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন থাকলেও মাথার আঘাত ছিল গুরুতর। মাথায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই তার মৃত্যু হয়েছে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পুরো ফলাফল পর্যবেক্ষণ শেষে বলা যাবে আরও কোন কারণ ছিল কি না।’
ফরেনসিক প্রতিবেদন কবে পাওয়া যাবে- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কোরবানি ঈদের আগেই প্রতিবেদন দেওয়া যাবে।’
গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে জামালপুরের বকশীগঞ্জ বাজারের পাটহাটি এলাকায় সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় তাকে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে ৩টার দিকে মারা যান তিনি। আজ বকশীগঞ্জ এন এম উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে প্রথম ও গোমেরচর গ্রামে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। তারা হলেন গোলাম কিবরিয়া সুমন, মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন, আইনাল হক, কফিল উদ্দিন, শহিদ ও ফজলু।
বকশীগঞ্জ থানার ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছয় জনকে আটক করা হয়েছে। বাবু চেয়ারম্যানকেও ধরতে অভিযান চলছে। অপরাধী যতই প্রভাবশালী হোক তাকে আইনের আওতায় আসতেই হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা নেওয়া হবে এবং আটকদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।’