লন্ডন ব্যুরো অফ টাওয়ার হ্যামলেট’স কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদের আমন্ত্রণে ঐতিহাসিক টাউন হল পরিদর্শন করেছেন গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজিরা বেগম শীলা।
সোমবার (৩ এপ্রিল) টাওয়ার হ্যামলেটস বারার ফার্স্ট সিটিজেন ও স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ ও কাউন্সিলর ফারুক আহমদ তাঁদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান এবং অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রায় দু’ঘণ্টা পুরো টাউন হল ঘুরে দেখান। পরে স্পিকারের কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিয়ানীবাজার পৌরসভার সাবেক মেয়র মো. আব্দুস শুকুর, বাংলাদেশ সেন্টার লন্ডন’র সাধারণ সম্পাদক মো. দেলওয়ার হোসেন, চীফ ট্রেজারার মামুন রশীদ, মিডিয়া কমিটির আহবায়ক আলী বেবুল, জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন ইউকের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ আমিনুল হক জিলু, গোলাপগঞ্জ সোশ্যাল অ্যান্ড কালাচারাল ট্রাস্ট ইউকে’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ দিলওয়ার হোসেন।
জানা যায়, হোয়াইটচ্যাপেলের ঐতিহাসিক গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত পুরানো রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল ভবনটি এ বছর টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন টাউন হল হিসাবে পুনরায় চালু হয়েছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত পুরানো হাসপাতাল ভবনটি ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায় যখন হাসপাতালটি ঠিক পাশের একটি নতুন, আধুনিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত ভবনটি একটি হাসপাতাল এবং একটি মেডিকেল কলেজ উভয়ই ছিল চারটি ভিন্ন শতাব্দী ধরে। যার মধ্যে দুটি বিশ্বযুদ্ধের আহতদের চিকিৎসা এবং একটি প্রসূতি হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ৯ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে পুরানো হাসপাতাল বিল্ডিং কিনেছে এবং আইকনিক বিল্ডিংটি পুনরুদ্ধার, সংস্কার এবং প্রসারিত করার জন্য একটি মাল্টি-মিলিয়ন পাউন্ড প্রকল্প শুরু করেছে- যা এখন স্থানীয় কমিউনিটিকে সেবা করার বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত বিল্ডিং সংরক্ষণের পাশাপাশি, হোয়াইটচ্যাপেল রোডে স্থানান্তর স্থানীয় লোকদের একটি স্থায়ী এবং এখন আরও অ্যাক্সেসযোগ্য টাউন হল বিল্ডিং হিসেবে কাজ করবে। মালবেরি প্লেসের ভাড়া বাবদ কাউন্সিলের প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পপলার এলাকায় মালবেরি প্লেসে টাউন হল ভবন ছিল। বারার প্রান্তে ইস্ট ইন্ডিয়া ডকের পুরাতন টাউন হলটিতে বাসিন্দাদের যাওয়া কঠিন ছিল।