লন্ডন ব্যুরো অফ টাওয়ার হ্যামলেট’স কাউন্সিলের স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদের আমন্ত্রণে ঐতিহাসিক টাউন হল পরিদর্শন করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
শনিবার (৯ এপ্রিল) টাওয়ার হ্যামলেটস বারার ফার্স্ট সিটিজেন ও স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ ও ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর মায়ূম তালুকদার তাঁদেরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। এরপর তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে প্রায় দু’ঘণ্টা পুরো টাউন হল ঘুরে দেখান। পরে স্পিকারের কক্ষে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ক্যাবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর আবু চৌধুরী, কাউন্সিলর মুশতাক আহমেদ, কাউন্সিলর আনা মিয়া, কাউন্সিলর বেলাল উদ্দিন, কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান।
এ সময় কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- লন্ডন এডুকেশন ট্রাস্ট ইউকে’র চেয়ারম্যান ও কাউন্সিল অফ মস্ক টাওয়ার হ্যামলেটেস’র ট্রেজারার সাংবাদিক মো. আব্দুল মুনিম জাহেদী ক্যারল, জাসাস নেতা আব্দুস সালাম, লন্ডন স্পোর্টিফ’র বোর্ড অফ ডাইরেক্টর মুহি মিকদাদ, শিমুল প্রমুখ।
স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদ তাঁর বক্তব্যে নতুন টাউন হলের ব্যাপারে বলেন, হোয়াইটচ্যাপেলের ঐতিহাসিক গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত পুরনো রয়্যাল লন্ডন হাসপাতাল ভবনটি এ বছর (২০২৩) টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নতুন টাউন হল হিসাবে পুনরায় চালু হয়েছে।
অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে নির্মিত পুরনো হাসপাতাল ভবনটি ২০১৩ সালে বন্ধ হয়ে যায়, যখন হাসপাতালটিা ঠিক পাশের একটি নতুন, আধুনিক ভবনে স্থানান্তরিত হয়।
গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত ভবনটি একটি হাসপাতাল এবং একটি মেডিকেল কলেজ উভয়ই ছিল চারটি ভিন্ন শতাব্দী ধরে। যার মধ্যে দুটি বিশ্বযুদ্ধের আহতদের চিকিৎসা এবং একটি প্রসূতি হাসপাতাল অন্তর্ভুক্ত ছিল।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের প্রথম মেয়র লুতফুর রহমান কাউন্সিলের মাধ্যমে ৯ মিলিয়ন পাউন্ড দিয়ে পুরনো হাসপাতাল বিল্ডিং কিনেছেন এবং আইকনিক বিল্ডিংটি পুনরুদ্ধার, সংস্কার এবং প্রসারিত করার জন্য একটি মাল্টি-মিলিয়ন পাউন্ড প্রকল্প শুরু করেছেন যা এখন স্থানীয় কমিউনিটিকে সেবা করার বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
গ্রেড-২ তালিকাভুক্ত বিল্ডিং সংরক্ষণের পাশাপাশি, হোয়াইটচ্যাপেল রোডে স্থানান্তর স্থানীয় লোকদের একটি স্থায়ী এবং এখন আরও অ্যাক্সেসযোগ্য টাউন হল বিল্ডিং হিসেবে কাজ করবে। মালবেরি প্লেসের ভাড়া বাবদ কাউন্সিলের প্রতি বছর ৫ মিলিয়ন পাউন্ড সাশ্রয় হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী টাওয়ার হ্যামলেট’স কাউন্সিলের জন নন্দিত মেয়র লুতফুর রহমান ও স্পিকার কাউন্সিলর শাফি আহমদের কাজের ভুয়সী প্রশংসা করে বলেন, সিলেট-লন্ডনের মধ্যে একটি সেতুবন্ধরূপে অনেক ভাল কাজ করার সুযোগ আছে, সবার সহযোগিতা থাকলে আগামীতে ওগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
মেয়র তাঁর নিজের কাজের কথা উল্লেখ করে বলেন, সিলেটকে একটি আধুনিক স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলেতে সিলেট সিটি করপোরেশন সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থাপনার উপর। এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নগরের যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়নে জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানান সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এরই ধারাবাহিকতায় নগরের প্রধান সড়কের পাশাপাশি পাড়া গলির সড়ক সমূহও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পপলার এলাকায় মালবেরি প্লেসে টাউন হল ভবন ছিল। বারার প্রান্তে ইস্ট ইন্ডিয়া ডকের পুরাতন টাউন হলটিতে বাসিন্দাদের যাওয়া কঠিন ছিল।