সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে খেলার আগে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি পেয়েছে বাংলাদেশ। ফিফা প্রীতি ম্যাচে র্যাঙ্কিংয়ে ১৬ ধাপ এগিয়ে থাকা কম্বোডিয়াকে হারিয়েছে। মজিবর রহমান জনির একমাত্র লক্ষ্যভেদে বাংলাদেশ ১-০ গোলে স্বাগতিকদের পরাজিত করেছে। তাতে কম্বোডিয়ায় বাংলাদেশের টানা জয় অব্যাহত থাকলো। সর্বশেষ তিন ম্যাচেই জিতেছে লাল-সবুজ দল। একটি হয়েছে ২০১৯ সালের মার্চে। দ্বিতীয় ছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। তাছাড়া তাদের সঙ্গে মোট ৬ ম্যাচে খেলে জিতেছে পাঁচটিতেই। ড্র হয়েছে একটি।
যদিও বৃহস্পতিবার নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শুরু থেকে স্বাগতিকদের আধিপত্য ছিল। শুরুর দিকে দুটি কর্নার ও একটি ফ্রিকিক আদায় করে বাংলাদেশের ওপর চড়াও হয় কম্বোডিয়া। তবে গোল আদায় করতে পারেনি। বাংলাদেশ নিজেদের রক্ষণ সামলে চেষ্টা করেছে প্রতিপক্ষের সীমানায় বল নিয়ে যেতে। ম্যাচঘড়ির ৩ মিনিটের সময় সুকমপিকের বক্সের ভিতর থেকে নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ২১ মিনিটে ব্রাক থিভার লক্ষ্যে নেওয়া শট বিশ্বনাথ ঠেকিয়ে দিলে গোল পায়নি স্বাগতিকরা।
২৪ মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যায়। ফয়সাল আহমেদ ফাহিমের ক্রস থেকে মজিবর রহমান জনি ৬ গজের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ে দারুণভাবে প্লেসিং করে লক্ষ্যভেদ করেছেন। গোলের সঙ্গে সঙ্গে ৩০ হাজার গ্যালারিভর্তি দর্শকও স্তব্ধ হয়ে যান।
গোল শোধে মরিয়া কম্বোডিয়াও চেষ্টা কম করেনি। ৪১ মিনিটে কোউচ সকুমপিকের জোরালো শট গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেছেন ।
বিরতির পর কম্বোডিয়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রাখার চেষ্টা করে। ৫২ মিনিটে তাদের একটি আক্রমণ গোলকিপার জিকো ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়েছেন। কিছুক্ষণ পর মাঠে নামেন শেখ মোরসালিন ও ইব্রাহিম। ৬৫ মিনিটে অভিষিক্ত মোরসালিনের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেছে। ৬৮ মিনিটে লিম পিসথের হেড সাইড বার দিয়ে গেলে সমতায় ফেরা হয়নি স্বাগতিকদের।
শেষ দিকে এসে বাংলাদেশ ১০ জনের দলে পরিণত হয়েছে। কাজী তারিক লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন। তাতে ম্যাচের ফলে কোনও বদল আসেনি যদিও। বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেই অলিম্পিক স্টেডিয়ামের মাঠ ছেড়েছে।