বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে সংগঠিত অগ্নিকান্ডে বসত ঘর ভস্মিভূত হওয়া সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে ৫ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এমপি মোকাব্বির খান। অগ্নিকান্ডে নিন্মমধ্যবিত্ত ওই ৫ পরিবারে বসতঘর পুড়ে ছাই হওয়ার খবর শুনে তিনি সেখানে যান এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের খোঁজ-খবর নেন। তাৎক্ষণিক পরিবারগুলোকে নগদ ১২ হাজার টাকা ও পরিধানের জন্য কিছু কাপড় প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে তাদেরকে নগদ ৬০ হাজার টাকা, ২০ বান টিন ও একটি গভীর নলকুপ অনুদান দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাসানুজ্জামান নূরু বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ৫ পরিবারের সদস্যদেরকে ভরণ-পোষণের জন্য তাৎক্ষণিকভাবে ১ লাখ টাকা প্রদান করেছেন।
এরআগে শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুন লেগে দৌলতপুর গ্রামের ৫টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। কিন্তু তারা আসার আগেই সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ওই অগ্নিকান্ডে প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
ক্ষতিগ্রস্থ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে শুক্রবার (১৬ জুন) বিকেলে বৈদ্যুতিক শটসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রত্রপাত হয়ে ৫ পরিবারে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আগুনের খবর পেয়ে এলাকাবাসী তাৎক্ষণিক আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখা দ্রæত ছড়িয়ে পড়ায় আগুন নেভানোর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই সবকিছু পুড়ে যায়। এ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গ্রামের মৃত মিয়া ধর মিয়ার পুত্র ফারুক মিয়া ও সৌদি প্রবাসী সুরুক মিয়া, মৃত মফিজ আলীর পুত্র বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়াদের প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক মিয়া।