সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে পুলিশের বিশেষ অভিযানে চোরাইপথে নিয়ে আসা ভারতীয় ৩৬টি গরুসহ আট জনকে আটক ও ইঞ্জিনচালিত একটি স্টিলবডি নৌকা জব্দ করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নের পানাইল নতুনপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মনাফের পুত্র জামাল মিয়া ওরফে জালাল (৫০), মৃত মখলিছ আলীর পুত্র আলা উদ্দিন আলাল (৩০), ছোয়াব আলীর পুত্র বাবুল হোসেন (২৮), ভবানীপুর (জাঙ্গালা পাড়া) গ্রামের সৈরত আলীর পুত্র আব্দুল বাছির মিয়া (৩৮)। এ সময় তাদের হেফাজতে থাকা ১৪টি ভারতীয় গরু জব্দ করা হয়। পরে আটককৃতদের দেয়া তথ্যমতে মধ্যরাতে উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের খাসিয়ামারা নদীর টিলাগাঁও নৌকাঘাটে অভিযান চালিয়ে জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার চানপুর (আবরহাটি) গ্রামের আমীর হোসেনের পুত্র রাদেন মিয়া (২২), দোয়ারাবাজার উপজেলার বগুলাবাজার ইউনিয়নের আন্ধাইরগাঁও গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের পুত্র আব্দুল কাদির (২৭), বাঘাহানা গ্রামের করিম খানের পুত্র বাচ্চু খান (৪৫), মৃত লোকমান শেখের পুত্র আফসর উদ্দিন (৫০) ।
তাদের হেফাজতে থাকা ২২টি ভারতীয় গরু এবং গরু পরিবহনে ব্যবহৃত ১টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকা জব্দ করা হয়। উদ্ধারকৃত সর্বমোট ৩৬টি ভারতীয় গরু ও ১টি ইঞ্জিনচালিত স্টিলবডি নৌকাসহ ৮ গরু চোরাকারবারিকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে ছাতক জোনের এএসপি (সার্কেল) রণজয় চন্দ্র মল্লিক ও দোয়ারাবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল হাসানের নেতৃত্বে এসআই আতিয়ার রহমান, সম্রাজ মিয়া ও আসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহায়তায় বগুলাবাজার- দোয়ারাবাজার সড়কের গিরিশনগর মসজিদের সামনে ও টিলাগাও নৌকাঘাটে পৃথক অভিযান পরিচালিত হয়। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোনো বৈধ কাগজপত্র না পাওয়াশ নৌকা ও গরুসহ পুলিশ হেফাজতে তাদেরকে দোয়ারাবাজার থানায় পাঠানো হয়।
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল হাসান জানান, শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে সীমান্তের চোরাইপথে গরুগুলো আনা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়েরপূর্বক নৌকা ও গরুসহ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটক ৩৬টি গরুর অনুমান বাজারমূল্য ধরা হয়েছে ২১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ।
চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে তিনি জানান।