হবিগঞ্জের বাহুবলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে সংঘটিত জোড়া খুনের ঘটনায় এক পক্ষ থেকে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত ইউসুফ আলীর ছোট ভাই সুজন আহমেদ বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে ও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি রেখে বাহুবল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। বুধবার দিবাগত রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাহুবল মডেল থানার (ওসি) মো. মশিউর রহমান।
তিনি জানান, মামলার এজহারভূক্ত ৪ আসামিকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাড়ির সীম সীমানা নির্ধারণ নিয়ে উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের আব্রু মিয়ার ছেলে ফারুক মিয়া ও তার লোকজনের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে যুবলীগ নেতা ইউসুফ গংদের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে মাস খানেক পূর্বে উভয় পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ইউসুফ মিয়া ও তার ভাই লিয়াকত আলীর বিরুদ্ধে ফারুক মিয়ার পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় গত ২১ সেপ্টেম্বর হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে তারা জামিন জামিন লাভ করেন। এরপর থেকে উভয় পক্ষে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই দিন পূর্বেও তাদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
(৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পুনরায় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। পরে বিষয়টির জের ধরে রাত সাড়ে ১০ টায় ইউসুফ মিয়া ও উস্তার মিয়াসহ তাদের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ফের ভয়াবহ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে কামারগাও গ্রামের চেরাগ মহালদারের ছেলে ও বাহুবল উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ মিয়া (৪০) ও একই গ্রামের হাছন আলীর ছেলে উস্তার মিয়া (৪২) মারা যায়। এ জোড়া খুনের ঘটনার পর থেকেই ওই এলাকায় থমথমে অবস্থায় বিরাজ করছে।