রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার উদ্যোগে এক প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টায় আম্বরখানাস্থ সংগঠনের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রিকশা-ব্যাটারি রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ সিলেট মহানগর শাখার সভাপতি প্রণব জ্যোতি পাল এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বেলাল হোসেন এর সঞ্চালনায় প্রতিনিধি সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের উপদেষ্টা আবু জাফর, সংগঠনের মহানগর শাখার সহ-সভাপতি আব্দুন নূর, ৫নং ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি ইউসুফ আলী, ৬নং ওয়ার্ড তুহিন আহমদ, ৮নং ওয়ার্ড সভাপতি বিলাল আহমদ, ৯নং ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ, ১০নং এর জামাল উদ্দিন, ১৪নং ওয়ার্ড এর মিজান রহমান, ১৭ নং ওয়ার্ড এর তাজুল ইসলাম,২৫নং ওয়ার্ড আসলাম উদ্দিন, ৩০নং ওয়ার্ড এর অভি ইসলাম, ৩৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি মোহসিন আহমদ, টুকেরবাজার আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম, প্রমূখ।
প্রতিনিধি সভায় বক্তারা বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট মহানগর ট্রাফিক কর্তৃপক্ষ ব্যাটারি চালিত যানবাহন আটক করে ব্যাটারি-মটর খুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তের ফলে নগরীর প্রায় ২০হাজার ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিকদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। সারাদেশে যখন স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাটারি চালিত যানবাহন চলছে তখন সিলেট নগরীর ট্রাফিক কতৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারও ব্যাটারি চালিত যানবাহনের লাইসেন্স প্রদানে একটি খসড়া নীতিমালা তৈরি করেছেন। বক্তারা বলেন সিলেট নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট এমনিতেই ব্যাটারি চালিত যানবাহন শ্রমিকরা এড়িয়ে চলে। নগরীর যানজটের জন্য কোনভাবেই ব্যাটারি চালিত যানবাহন দায়ি নয়। তাছাড়া পরিবেশ বান্ধব,স্বল্প ভাড়া বাহন হিসেবে নাগরিক জীবনেও এর প্রভাব রয়েছে।
বক্তারা অবিলম্বে, সংগ্রাম পরিষদের সংশোধনী প্রস্তাব গ্রহণ করে “প্রস্তাবিত থ্রী হুইলার ও সমজাতীয় মোটরযানের স্ষ্ঠুু ব্যবস্থাপনা ও নিয়ন্ত্রণ নীতিমাল-২০২১” এর দ্রত চুড়ান্ত ও কার্যকর করা এবং এর আলোকে ব্যাটারি চালিত যানবাহনের দ্রত নিবন্ধন, রুট পারমিট এবং লাইসেন্স প্রদান করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা, দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে বিআরটিএ কতৃক লাইসেন্স প্রদানের আগ পর্যন্ত ব্যাটারি চালিত যানবাহনের হয়রানি-উচ্ছেদ বন্ধ, রেকার বিল পূর্বের মতো ৫শত টাকা করা, সিলেট মহানগর ট্রাফিক কতৃপক্ষ কর্তৃক ব্যাটারি চালিত যানবাহন আটক করে ব্যাটারি -মটর খুলে ফেলার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।