ফ্রান্সকে অবশ্যই পুলিশের মধ্যে জাতিগত বৈষম্যের গভীর সমস্যাগুলোর সমাধান করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ। গত মঙ্গলবার পুলিশের গুলিতে ১৭ বছরের কিশোর নিহত হলে, ফ্রান্সে জাতিগত বৈষম্যের বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। সেই রাত থেকে বিক্ষোভে উত্তাল ইউরোপের দেশটি।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসের মুখপাত্র রাভিনা শামদাসানি শুক্রবার জেনেভায় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘ফ্রান্সে পুলিশের হাতে উত্তর আফ্রিকান বংশোদ্ভূত ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরের হত্যার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা লক্ষ্য করেছি যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
শামদাসানি বলেন, ‘আইন প্রয়োগে বর্ণবাদ এবং বৈষম্যের গভীর সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব সহকারে মোকাবিলা করার জন্য এটি উপযুক্ত একটি মুহূর্ত।’
বিক্ষোভের তৃতীয় রাতে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, দোকান ভাঙচুর এবং শতাধিক গ্রেফতার হওয়ার পর শুক্রবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মন্ত্রীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের নেতৃত্ব দেবেন।
‘সব বিকল্প’ টেবিলে :
ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বলেছেন, দেশজুড়ে অস্থিরতার তৃতীয় রাতের পর জরুরি অবস্থা ঘোষণাসহ শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধারের জন্য ‘সব বিকল্প’ বিবেচনা করছে সরকার।
জরুরি অবস্থা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে স্থানীয় কারফিউ ঘোষণা, বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করতে এবং সন্দেহভাজন দাঙ্গাকারীদের নিয়ন্ত্রণ এবং বাড়িঘর তল্লাশিতে পুলিশকে আরও স্বাধীনতা দেবে।
জরুরি অবস্থা বিবেচনা করা হচ্ছে কী না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ফরাসি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এখন আপনাকে বলব না। তবে আমরা সব ধরনের বিকল্পের দিকে তাকিয়ে আছি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা।’
সূত্র: আরব নিউজ