সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে বসত ঘরে আগুন লেগে গরু, থান কাপড়, সেলাই মেশিন, হাঁস, মুরগীসহ ঘরে থাকা মূল্যবান সব আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন স্থানীয় কাপড় ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া।
বৃহস্পতিবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের বীরনগর গ্রামের মৃত শাহেদ আলীর ছেলে কাপড় ব্যবসায়ী দুলাল মিয়ার বসত ঘরে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থ দুলাল মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতের খাবারের পর তার স্ত্রী বাড়ির সামনের রাস্তার পাশে দোকান ঘরে ঘুমাতে যান। আর তিনি দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসতঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ৩টার দিকে হঠাৎ তার পরনের লুঙ্গিতে আগুন লাগলে তিনি সজাগ হন। পরে তিনি তাৎক্ষণিক পড়নের লুঙ্গি খুলে তিন ছেলে ও মেয়েকে ঘর থেকে বাইরে বের করেন।
এদিকে ছেলে মেয়েক উদ্ধার করতে পারলেও গোয়াল ঘরে রাখা একটি গরু, দোকানের থান কাপড়, হাস-মুরগি উদ্ধার করতে পারেননি। পরে তার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এবং প্রায় দুই ঘন্টার পর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রে নেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল হক বলেন, তাৎক্ষণিক দুলাল মিয়ার ঘুম ভাঙায় তার তিন ছেলে মেয়েকে বাঁচাতে পেরেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তার প্রায় ৭০হাজার টাকার একটি গরু, লাখ টাকার থান কাপড়, একটি সেলাই মেশিন, ২২টি রাঁজাহাস, ৮টি মুরগি, ছেলে-মেয়ের বই-পত্রসহ বসত ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আসাদুজ্জামান রনি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কাজী মাসুদুর রহমান ও তাহিরপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান জুনাব আলী।
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা বলেন, আগুনে পরিবারটির সব কিছু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে তাৎক্ষণিক শীত নিবারনের জন্য কম্বল দেওয়া হয়েছে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারটিকে আর্থিক সহযোগিতা এবং ছেলে ও মেয়ের স্কুলের বইসহ যাবতীয় শিক্ষা সামগ্রী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।