বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা শুক্রবার বিকালে নয়াদিল্লির ঐতিহাসিক হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত ফরেন অফিস কনসালটেশনে (এফওসি) নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন তিস্তা চুক্তি ও অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন চুক্তি দ্রুত সম্পাদন, বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্য থেকে বাণিজ্য বাধা অপসারণ এবং দু’দেশের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ভারতের সহযোগিতাও কামনা করেন। ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় কোয়াত্রা বাংলাদেশকে বিশ্বস্ত প্রতিবেশী হিসেবে আখ্যায়িত করেন এবং দু’দেশের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এক বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, এফওসি বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যু পর্যালোচনা এবং দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সুবিধার জন্য পারস্পরিক স্বার্থের নতুন পথ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে একটি বিস্তৃত আলোচনার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ভারতের জি-২০ প্রেসিডেন্সির অধীনে একমাত্র দক্ষিণ এশীয় নেতা হিসেবে ‘জি-২০ লিডার্স সামিটে’ যোগ দিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোয় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
উভয় দেশের পররাষ্ট্র সচিব বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং ২০২৩ সালে অর্জিত অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। সম্প্রতি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি এবং বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, এ ধরনের সহযোগিতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।
দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব উন্নয়ন, ব্যবসা-বাণিজ্য, আঞ্চলিক সংযোগ, আঞ্চলিক পাওয়ার গ্রিড সংযোগ, নিরাপত্তা ও পানি সম্পর্কিত ইস্যু, কনস্যুলার ও সাংস্কৃতিক ইস্যুর মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। স্নাতকোত্তর পর্যায়ে বাংলাদেশের সামনে যে সব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হবে তা নিয়েও তারা আলোচনা করেন। উভয় পক্ষই পুনর্ব্যক্ত করেছে যে শান্তিপূর্ণ সীমান্তের জন্য দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে হবে।
সূত্র : যুগান্তর