ভোটাররা ভোট দিলে সেটাই ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন’ বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান।
শুক্রবার সকালে মৌলভীবাজার সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের পূর্বপ্রস্তুতি হিসাবে মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার রিটার্নিং অফিসার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এ সভার আয়োজন করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনে জনগণ যদি ভোট দান করে সেটাই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। কোনো দলের ভোটে আসা-না আসা সেটা তাদের বিষয়।
তিনি বলেন, একটি বড় দল তারা নিবার্চনের বাইরে আছে; যদি তারা বা তাদের সঙ্গে সমমনা যারা আছেন, তাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার আগ্রহ ব্যক্ত করা হয়, সেক্ষেত্রে আমাদের নির্বাচন তফসিল পুনঃনির্ধারণ করার সময় এবং সুযোগ রয়েছে। কিন্তু সে ধরনের কোনো প্রস্তাব এখনো আসেনি, যদি আসে তবে সেটা বিবেচনায় নেওয়া যাবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচনে কে আসল- কে না আসল, সেটা কিন্তু আমাদের দেখার বিষয় নয়। আমাদের সঙ্গে ৪৪টি দল নিবন্ধিত আছে, নির্বাচনে অংশ নেবেন, সেজন্যই তারা নিবন্ধিত হয়েছেন। এখন কেউ যদি না আসে আমাদের কিছু করার নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে, ২৮ জানুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। সেটায় আমরা বাধ্য, সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি। কারো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা না করা তো আমার ওপর নির্ভর করে না। এটা যে দল- তাদের নেতৃবৃন্দের ওপরে, তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
নির্বাচনের দিন সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের নীতিমালা নিয়ে, একইসঙ্গে মোবাইল নেটওয়ার্ক সীমাবদ্ধ না করতে বিটিআরসিকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগে অপপ্রচার বা গুজব না ছড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে আনিছুর বলেন, অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপিটিভি, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে কেউ যেন কোনো প্রকার অপপ্রচার না করে।
সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) দেবজিৎ সিংহের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক দেবী চন্দ, মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম প্রমুখ।