বৃহত্তর সিলেটের অরাজনৈতিক কল্যাণমূলক স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সিলেট কল্যাণ সংস্থা (সিকস), সিকস’র অঙ্গ সংগঠন সিলেট বিভাগ যুব কল্যাণ সংস্থা (সিবিযুকস) ও বাংলাদেশী প্রবাসীদের সবধরনের দাবি উপস্থাপনের বলিষ্ঠ সংগঠন সিলেট প্রবাসী কল্যাণ সংস্থা (সিপ্রকস) এর যৌথ উদ্যোগে শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টায় সিকস’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রস্তাবিত ৪টি কমিটির পরিচিতি ও ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দের ৪র্থ সাপ্তাহিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের অনাকাংখিত চাঁদাবাজির বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা করা হয়। উপস্থিত সদস্যদের মতামতের পরিপ্রেক্ষিতের আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি রোববার সিলেট মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের অনাকাংখিত ও জোরপূর্বক চাঁদাবাজির বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বরাবরে স্মারকলিপি প্রদানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, সিলেট মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে ভিক্ষুক ও হিজড়াদের উৎপাত মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়েই চলছে। সিলেট মহানগরীর বন্দরবাজার, বৃহত্তর জিন্দাবাজার, জল্লারপার, চৌহ্রাটা, আম্বরখানা, সুবিদবাজার, রিকাবীবাজার, লামাবাজার, কাজলশাহ, শিবগঞ্জ, হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার প্রাঙ্গন, হযরত শাহপরাণ (রহ.) মাজার প্রাঙ্গন, মেজরটিলা, বৃহত্তর উপশহর, ভার্থখলা, কদমতলী বাসস্ট্যান্ড, রেলষ্টেশন সহ বিভিন্ন জায়গায় ভিক্ষুকদের দৌরাত্ম পর্যটক, প্রবাসী ও নগরে বসবাসরত নাগরিকদের বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে দেয়। অনেক সময় ভিক্ষুকরা পথচারীদের শরীরে হাত দিয়ে জোর করে টাকার দেয়ার জন্য বাধ্য করে। পাশাপাশি হিজড়ারা নগরীর প্রায় পয়েন্টে দলবেঁধে বরযাত্রার গাড়ি, বিদেশ যাত্রীদের গাড়ি সহ যেকোনো অনুষ্ঠানের সাজানো গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এমনকি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে চাঁদা না দেওয়া পর্যন্ত জোরজবরদস্তী করে। চাঁদার নির্দিষ্ট পরিমান টাকা না পেলে বা গাড়ির যাত্রীদের মধ্য থেকে কেউ কোনরূপ কথা বলতে গেলেই তারা উলঙ্গ হয়ে যায়। যা গাড়িতে থাকা পুরুষ ও নারীদের অসম্ভব লজ্জা ফেলে দেয়। বাধ্য হয়ে তাদের চাহিদার টাকা দিতে হয়। ভিক্ষুক ও হিজড়াদের বাসাবাড়িতে উৎপাততো রয়েই গেছে। বক্তারা মহানগরীর ভিক্ষুক ও হিজড়াদের জোরপূর্বক চাঁদা আদায়ের অবস্থা থেকে নগরবাসী ও নগরে আসা অতিথিদের রক্ষা করতে সিলেট সিটি কর্পোরশেন, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে দ্রæত কার্যকর পদক্ষেপ করার জোর দাবি জানান।
সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সিলেট কল্যাণ সংস্থার কার্যকরী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এহছানুল হক তাহেরের সভাপতিত্বে এবং সংস্থাগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও সিকস’র কার্যকরী কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিয়াউর রহমানের পরিচালনা সভায় বিভিন্ন মতামত উপস্থাপন করে বক্তব্য রাখেন সিবিযুকস’র বিভাগীয় কমিটির সভাপতি আলহাজ্জ মুখতার আহমেদ তালুকদার, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ নাজমুল হুসাইন, সাংগঠনিক সম্পাদক মুসলেহ উদ্দিন চৌধুরী মিলাদ, প্রচার সম্পাদক মোঃ ফুজায়েল আহমদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মোঃ রুবেল মিয়া, সদস্য মোঃ ইয়াকুব, জেলা কমিটির সভাপতি হাজী মোঃ আশরাফ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজ আল গালিব, মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম শিতাব, প্রচার সম্পাদক দিপক কুমার মোদক বিলু, নেতৃবৃন্দদের মধ্য থেকে তোফায়েল আহমদ, মোঃ শাহজাহান মাস্টার, মোঃ সাজ্জাদুজ্জামান বাবলু, নাহিদুল ইসলাম পারভেজ, ডাঃ মোঃ টুনু মিয়া আনছার, মোঃ বদরুল ইসলাম, মোঃ বাবলু মিয়া, মিল্লাত আহমদ, আবু তাহের, মোঃ হোসাইন, মোঃ আজিম মিয়া, মোঃ সাইদুল ইসলাম, মোঃ কাপ্তান মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর, মোঃ খালেদ আহমদ, মুস্তফা সাজিদুল ইসলাম, ইহসানুল আলম, আদনান ছামি ফাহিম, রাকিব আহমদ, সুহেল আহমদ ও মোঃ খালেদুর রহমান।
সভায় সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে জনদূর্ভোগ লাঘব করে শতভাগ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা ও দুর্নীতিমুক্ত করার দাবীতে ২৮ জানুয়ারীর স্মারকলিপি প্রদান ও ২৯ জানুয়ারীর ৩০ মিনিটের অবস্থান কর্মসূচী সফল করে তোলার জন্য সিলেটের সচেতন নাগরিকবৃন্দ সহ সংগঠনের সহযোদ্ধাদেরকে অভিনন্দন জানানো হয়।
উল্লেখ্য, ১১ ফেব্রুয়ারির স্থলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ১১ এপ্রিল ভূলবসত প্রকাশ হয়।